রোজকার নামাজ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এটা ছোট বড় সকলকেই পড়তে হবে। আল্লাহ তা'আলার নৈকত্ব লাভের জন্য ইবাদাত ছাড়া আর কোন পথ নেই। যারাই ইবাদাত ছাড়া অন্য পথের কথা বলে তারাই ভুলের উপরে রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সুন্নাত নামাজ পড়া অনেক বেশিই ফজিলত পূর্ন।
আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নিয়মিত আদায় করবে তার জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতে মহল নির্মান করবেন। ৪ রাকাত যোহরের পূর্বে, ২ রাকাত যোহরের পর, ২ রাকাত মাগরিবের পর, ২ রাকাত ইশার পর, ২ রাকাত ফজরের পূর্বে।
[সুনানে নাসায়ী, তিরমিযী]
সুতরাং, ৫ ওয়াক্ত নামাজে সুন্নাত সহ পড়তে হবে ফরজের পাশাপাশি। এছাড়াও নফল নামাজের প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে অনেক হাদিস পাওয়া যায়। আমি হিসাব করে এমন ৩টা নফল নামাজ বের করেছি যা সকল চাকুরীজীবিরাই পড়তে পারেন। আর তা হলো ইশরাক, আওয়াবিন ও তাহাজ্জুদ। এর ভেতরে ফজিলতের দিক থেকে অনেকটা এমনঃ তাহাজ্জুদ > ইশরাক > আওয়াবিন। আমার ব্যাক্তিগত আমল থেকে নামাজ অনেকটা এমনঃ
- ফজরঃ ২ রাকাত সুন্নাত, ২ রাকাত ফরজ
- ইশরাকঃ ২ রাকাত
- জোহরঃ ৪ রাকাত সুন্নাত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নাত
- আসরঃ ৪ রাকাত ফরজ
- মাগরীবঃ ৩ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নাত
- আওয়াবিনঃ ২ রাকাত
- ইশাঃ ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নাত
- তাহাজ্জুদঃ ৮ রাকাত + বিতর ৩ রাকাত
এর পরবর্তি ধাপ হলো প্রতি ওয়াক্ত নামাজেই ২ রাকাত নফল নামাজ সহ পড়া। নামাজ হলো প্রথম ধাপ আল্লাহর দিকে ফেরার। বাকি সব আমলই নামাজের পর আসে। এজন্য আমাদের নামাজের আরও বেশি বেশি করে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে যেনো নামাজ সঠিক সময় মতো হয়। তাড়াহুড়ায় নামাজ পড়বো না। ঠিক মত প্রতিটা স্টেপ করবো। সিজদায় আল্লাহ তা'আলার সাথে বেশি বেশি কথা বলবো। বড় বড় সিজদাহ ও রুকু দিবো। খুশুখুজুর সাথে নামাজ পড়বো। নামাজ নিয়ে না হয় আরেকদিন আরেকটা পোস্ট লিখবো।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের সকলকে সুন্দরভাবে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুক। আমীন।