আয়াতে ইযাম (হাড়ক্ষয় রোগের চিকিৎসা)

আয়াতে ইযাম (হাড়ক্ষয় রোগের চিকিৎসা)
Photo by Joyce Hankins / Unsplash

আয়াতে ইযাম হাড়ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় বিশেষভাবে উপকারী।
ইযা-ম عظام হল عظم এর বহুবচন, যার অর্থ “হাড়” (bone)। কোরআন এর যে আয়াতগুলোতে হাড় শব্দ আছে, এটা হলো সেসবের সংকলন।

এরকম আয়াতগুলো হচ্ছেঃ

১. সুরা বাকারা ২৫৯
২. সুরা বনী ইসরাঈল ৪৯, ৯৮
৩. সূরা মারইয়াম ৪
৪. সূরা মু’মিনুন ১৪, ৩৫, ৮২
৫. সূরা ইয়াসিন ৭৮-৭৯
৬. সুরা সফফাত ১৬, ৫৩
৭. সূরা ওয়াক্বিয়াহ ৪৭
৮. সূরা ক্বিয়ামাহ ৩, ৪
৯. সূরা নাযিয়াত ১১

উল্লেখ্য, এখানে বলা সবগুলো আয়াত পড়তে না চাইলে অল্প কিছু (যেমন শুধু সুরা ইয়াসিন ৭৮-৭৯ এবং সুরা ক্বিয়ামাহ’র ৩-৪) আয়াত কয়েকবার পড়ে রুকইয়াহ করা যেতে পারে। তবে বেশি পড়লে বেশি ভালো।

নিচে আয়াতগুলা দেয়া হলোঃ

সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৯

اَوْ كَالَّذِیْ مَرَّ عَلٰى قَرْیَةٍ وَّ هِیَ خَاوِیَةٌ عَلٰى عُرُوْشِهَاۚ-قَالَ اَنّٰى یُحْیٖ هٰذِهِ اللّٰهُ بَعْدَ مَوْتِهَاۚ-فَاَمَاتَهُ اللّٰهُ مِائَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهٗؕ-قَالَ كَمْ لَبِثْتَؕ-قَالَ لَبِثْتُ یَوْمًا اَوْ بَعْضَ یَوْمٍؕ-قَالَ بَلْ لَّبِثْتَ مِائَةَ عَامٍ فَانْظُرْ اِلٰى طَعَامِكَ وَ شَرَابِكَ لَمْ یَتَسَنَّهْۚ-وَ انْظُرْ اِلٰى حِمَارِكَ وَ لِنَجْعَلَكَ اٰیَةً لِّلنَّاسِ وَ انْظُرْ اِلَى الْعِظَامِ كَیْفَ نُنْشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوْهَا لَحْمًاؕ-فَلَمَّا تَبَیَّنَ لَهٗۙ-قَالَ اَعْلَمُ اَنَّ اللّٰهَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ(259)

আও কাল্লার্য মাররা ‘আলা- কারইয়াতিওঁ ওয়াহিয়া খা-ওয়িয়াতুন ‘আলা- ‘উরুশিহা- কা-লা আন্না-ইউহ’য়ী হা-যি’হিল্লা-হু বা’দা মাওতিহা- ফাআমাতাহুল্লা-হু মিআতা ‘আ-মিং ছু’ম্মা বা’আছাহু কা-লা কাম লাবিছ’তা কা-লা লাবিছ’তু ইয়াওয়ান আও বা’দা ইয়াওমিন কা-লা ‘বাল্লাবিছ’তা মিআতা ‘আ-মিং ফাংজু’র ইলা-তা’আ-মিকা ওয়াশারা-বিকা লাম ইয়াতাছান্নাহু ওয়াংজু’র ইলা-হি’মা-রিকা ওয়া লিনাজ’আলাকা আ-য়াতাল লিন্না-ছি ওয়াংজু’র ইলাল’ইজা-মি কাইফা নুংশিঝুহা-ছুম্মা নাকছূহা- লাহ’মাং ফালাম্মা-তাবাইয়ানা লাহু কালা আ’লামু আন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইইং কা’দীর।

সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ৪৯ এবং ৯৮

وَ قَالُـوْۤا ءَاِذَا كُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ خَلْقًا جَدِیْدًا(49)

ওয়া কা-লু~ আইযা-কুন্না- ‘ইজা-মাঁও ওয়া রুফা-তান আইন্না- লামাব’ঊছু’না খালকাং জাদীদা।

ذٰلِكَ جَزَآؤُهُمْ بِاَنَّهُمْ كَفَرُوْا بِاٰیٰتِنَا وَ قَالُـوْۤا ءَاِذَا كُنَّا عِظَامًا وَّ رُفَاتًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ خَلْقًا جَدِیْدًا(98)

যা’লিকা জাঝা~উহুম বিআন্নাহুম কাফারূ বিআ-য়া-তিনা- ওয়াকা’লূ~ আইযা- কুন্না’ইজা-মাওঁ ওয়া রুফা-তান আইন্না- লামাব’ঊছু’না খালকাং জাদীদা।

সূরা মারইয়াম, আয়াত ৪

قَالَ رَبِّ اِنِّیْ وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّیْ وَ اشْتَعَلَ الرَّاْسُ شَیْبًا وَّ لَمْ اَكُنْۢ بِدُعَآىٕكَ رَبِّ شَقِیًّا(4)

কা’লা রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল ‘আজ’মু মিন্নী ওয়াশতা’আলার রা’ছু শাইবাওঁ ওয়ালাম আকুম বিদু’আ~ইকা রাব্বি শাকি’ইইয়া।

সূরা মু’মিনুন,আয়াত ১৪, ৩৫ এবং ৮২

ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظٰمًا فَكَسَوْنَا الْعِظٰمَ لَحْمًاۗ-ثُمَّ اَنْشَاْنٰهُ خَلْقًا اٰخَرَؕ-فَتَبٰرَكَ اللّٰهُ اَحْسَنُ الْخٰلِقِیْنَﭤ(14)

ছু’ম্মা খালাক’নান নুত’ফাতা ‘আলাকাতাং ফাখালাক’নাল ‘আলাকাতা মুদ’গাতাং ফাখালাক’নাল মুদ’গাতা ‘ইজা-মাং ফাকাছাওনাল ‘ইজা-মা লাহ’মাং ছু’ম্মা আংশা’না-হু খালকা’ন আ-খারা ফাতাবা-রাকাল্লা-হু আহ’ছানুল খা-লিকীন।

اَیَعِدُكُمْ اَنَّكُمْ اِذَا مِتُّمْ وَ كُنْتُمْ تُرَابًا وَّ عِظَامًا اَنَّكُمْ مُّخْرَجُوْنَ(35)

আইয়া’ইদুকুম আন্নাকুম ইযা-মিততুম ওয়া কূংতুম তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আন্নাকুম মুখরাজুন।

قَالُوْۤا ءَاِذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ(82)

লাকা’দ উ’ইদনা- নাহ’নু ওয়া আ-বা~উনা-হা-যা-মিং কা’বলু ইন হা-যা~ ইল্লা~ আছা-তীরুল আওওয়ালীন।

সূরা ইয়াসিন, আয়াত ৭৮ থেকে ৭৯

وَضَرَبَ لَـنَا مَثَلًا وَّ نَسِىَ خَلۡقَهٗ​ ؕ قَالَ مَنۡ يُّحۡىِ الۡعِظَامَ وَهِىَ رَمِيۡمٌ‏ (78)

ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকা’হূ কা’লা মাইঁ ইউহ’য়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম।

وَ ضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَّ نَسِیَ خَلْقَهٗؕ-قَالَ مَنْ یُّحْیِ الْعِظَامَ وَ هِیَ رَمِیْمٌ(78)قُلْ یُحْیِیْهَا الَّذِیْۤ اَنْشَاَهَاۤ اَوَّلَ مَرَّةٍؕ-وَ هُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِیْمُﰳ(79)

কু’ল ইউহ’য়ী হাল্লাযী~ আংশাআহা~ আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকি’ন ‘আলীম।

সুরা সফফাত, আয়াত ১৬ এবং ৫৩

ءَاِذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ(16)

আইযা-মিতনা- ওয়া কুন্না- তুরাবাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না- লামাব’ঊছূন।

ءَاِذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَدِیْنُوْنَ(53)

আইযা-মিতনা- ওয়া কুন্না- তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মাং আইন্না- লামাদীনূন।

সূরা ওয়াক্বিয়াহ, আয়াত ৪৭

وَ كَانُوْا یَقُوْلُوْنَ ﳔ اَىٕذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ(47)

ওয়া কা-নূ ইয়াকূ’লূনা আইযা-মিতনা- ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্না- লামাব’ঊছুন।

সূরা ক্বিয়ামাহ,আয়াত ৩ এবং ৪

اَیَحْسَبُ الْاِنْسَانُ اَلَّنْ نَّجْمَعَ عِظَامَهٗﭤ(3)

আ ইয়াহ’ছাবুল ইংছা-নু আল্লান নাজমা’আ’ইজা-মাহ।

بَلٰى قٰدِرِیْنَ عَلٰۤى اَنْ نُّسَوِّیَ بَنَانَهٗ(4)

বালা-কা-দিরীনা ‘আলা~ আন নুছাওওয়িয়া বানা-নাহ।

সূরা নাযিয়াত, আয়াত ১১

ءَاِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةًﭤ(11)

আইযা- কুন্না- ‘ইজা-মান নাখিরাহ।

উৎসঃ https://ruqyahbd.org/